ক্যান্সার নিরাময়ে করসোল পাতা
করোসল ফলের ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণাগুণ মানুষ প্রথম জানতে পারে ১৯৭৬ সালে। গবেষণায় করোসলে এমন কিছু কেমিক্যাল পাওয়া গেছে যা কিনা কেমোথেরাপিতে ব্যবহৃত Adriamycin থেকে দশ হাজার গুণ বেশি কার্যকর।
করোসল গাছের ফল, পাতা, বাকল সবকিছুই অবিশ্বাস্যভাবে প্রাকৃতিক ক্যান্সার কোষ প্রতিরোধী। অন্যদিকে, করোসল ফল গ্রহণে কেমোথেরাপির মতো চুল পড়ে না, উপরন্তু ক্যান্সার কোষ দমনকারী। প্রচলিত মেডিক্যাল চিকিৎসা সেবার মতো ক্যান্সার প্রতিরোধে এই ফলের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই নেই।
করোসল এ প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। এর এন্টিব্যাকটেরিয়াল সক্ষমতার জন্যে এর থেকে তৈরি তেলকে ব্রণ ও ফোঁড়া প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়। এই তেল প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ যেমন ফ্ল্যাভোনয়েডোস, পলিফেনল ও স্যাপনিন্স। এরা এন্টি এজিং প্রতিরোধে সহায়তা করে।
করোসল কিভাবে খাবেন
করোসলের গায়ে এমনই কাঁটা থাকে
করোসল তেল শিষ ও ফাটা ত্বকে লোশন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও একজিমা ও সোরিয়াসিস উপসর্গে এটি অত্যন্ত কার্যকরী। এই তেল সামাদের ত্বকে সরাসরি ব্যবহার করা সম্ভব। এই তেল খুব হালকা ও সুগন্ধযুক্ত।
করোসল কিভাবে খাবেন
করোসল অন্যান্য ঔষধি ফলের মতো তীব্র ও কটূ গন্ধযুক্ত। এর কাঁটাযুক্ত বহিরাবরণ খাওয়ার অনুপযোগী।
চামড়া তুলে ফেলে এর ভেতরের অংশ চামচ দিয়ে তুলে খাওয়া যায়। তরমুজের মতো বীজ ফেলে দিয়ে খেতে হয়। এছাড়াও এটি খুব বিষাক্ত। এর বীজ খুব দামী, ফেলে না দিয়ে নতুন চারা তৈরি করতে পারেন।
করোসল ফ্রিজিং করে এটি দিয়ে পানীয় তৈরি করা যায়। এছাড়াও পশ্চিমা দেশে ডেজার্ট তৈরিতেও এটি ব্যবহার করা হয়।